ছবি সংগৃহীত
মানুষের স্বভাব, ভাষা এবং চেহারায় যেমন স্থানভেদে পার্থক্য ও বৈচিত্র্য আছে, তেমনি খাবারেও আছে বৈচিত্র্যতা। কোথাও খাওয়া হচ্ছে পাথর কিংবা বরফ বারবিকিউ, কোথাও আবার পোকামাকড়ের ভাজি। কোনো কোনো দেশে সসে ডুবিয়ে খাওয়া হয় জ্যান্ত মাছ, অক্টোপাস।
তবে জীবন্ত চিংড়ির সালাদের কথা হয়তো অনেকেই শুনেছেন। কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ছোট ভিডিও নিশ্চয়ই আপনার সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে নানান রকম সসের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে জীবন্ত ছোট্ট ছোট্ট চিংড়ি। কাস্টমারকে সার্ভ করার পর এদিক ওদিক ছুটছে চিংড়িগুলো।
খাওয়ার সময় মুখে দিতে গিয়েও চিংড়িগুলো এদিক ওদিক ছিটকে পড়ছে। এটি থাইল্যান্ডের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিডফুট। চিংড়িগুলোকে মরিচ, লেবুর রস, ফিস সস, পুদিনা, কুচু করা লেটুস, লেমস গ্রাসের সঙ্গে মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। এটি শুধুও খাওয়া যায় তবে সেখানকার মানুষ এটিকে স্টিকি ভাতের সঙ্গে খেয়ে থাকে।
এটিকে ডান্সিং স্রিম্প বা গোংটেনও বলা হয়ে থাকে। থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন অথচ এই খাবারের স্বাদ নেননি এমন মানুষ কমই আছেন। এটি সেখানকার ঐতিহ্যবাহী অনেক পুরোনো খাবারের রেসিপি হলেও অন্যান্য দেশের মানুষের জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা।
উত্তর-পূর্ব থাইরা কাঁচা খাবার পছন্দ করে। অনেকেই মনে করেন জাপানি সুশির থেকেই তাদের এই খাদ্যাভ্যাস এসেছে। তারা গরুর মাংস, শুকরের মাংস, চিংড়ি, বিভিন্ন ধরনের মাছ, শামুক, ঝিনুক কাঁচা বিভিন্ন মশলার সঙ্গে মেরিনেট করে খেতে পছন্দ করে।
ফুড ব্লগার মার্ক উইনস, স্বীকার করেছেন যে এক চামচ ডান্সিং স্রিম্প মুখে দেওয়া উভয়ই আনন্দ এবং সুস্বাদু অনুভূতি দিতে পারে। একটি কামড় নেওয়ার পর চিংড়িটি লবণাক্ততার স্বাদ এবং কুড়মুড়ে একটি স্বাদ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে লবণ, ঝাল, লেবুর টক আপনার মুখের মধ্যে এক অন্যরকম স্বাদের আস্বাদন জোগাবে। একবার চেখে দেখতে পারেন। সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল